মোছাঃ সীমা খাতুন
স্টাফ রিপোর্টার
ঐতিহ্যবাহী ৫৩৫তম কালীপূজা ও মেলা আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে। দেশ-বিদেশের হাজারো ভক্ত ও দর্শকের পদচারণায় ৭ দিনব্যাপী মিলন মেলা প্র
তিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আগামী ৬ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা রাতে সমাপ্ত হবে। পূজা কমিটি সূত্রে জানাযায়, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মধ্য রাত থেকে শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ৫৩৫তম কালীপূজা ও মেলার আনুষ্ঠানিকতা। হাজারো দর্শনার্থী ও ভক্তবৃন্দের পদচারণায় মন্দির এলাকায় উৎসব মুখর পরিবেশে মেলা চলে। মেলায় বিভিন্ন ধরনের ৩শতাধিক স্টল স্থান পেয়েছে। রয়েছে শিশুদের জন্য নাগর দোলার ব্যবস্থা। লোহার তৈরী দা, কুড়াল, বটি, কাচি, হাসুয়া, কোদালসহ গৃহস্থালী কাজের রকমারি জিনিসপত্রের দোকান। বাঁশ ও কাঠের তৈরী নানা আসবাপত্র, কুটির শিল্পের নানা পন্য এবং মিষ্টান্নের সঙ্গে কসমেটিকস সামগ্রীতে সেজেছে মেলার স্টল গুলো। বাহারি পোশাক, কম্বল, শিশুদের বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী, খাবার, বইয়ের দোকান, ফার্নিচার সামগ্রীর দোকান। সেই সাথে চলেছে মুখোরোচক গরম গরম পাপড় ভাঁজা। সাথে রয়েছে বাহারী রকমের বাহারী স্বাদের পানের দোকান। বিভিন্ন এলাকা থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বাড়ি থেকে বিভিন্ন ফল ও মানতের পাঁঠা নিয়ে পূজা মন্ডপে আসেন। তাদের স্বাগত জানাতে ঢাক-ঢোল বাদকরা বাজনা বাজায়। ভক্তরা পূজা মন্ডপে এসে তাঁদের নাম ও ফি প্রদান শেষে সঙ্গে আনা বিভিন্ন সামগ্রী কালিমাতাকে প্রণাম শেষে অর্পণ করেন। পূজা কমিটির সভাপতি শতদল কুমার বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের পূঁজারী ছাড়াও দেশ বিদেশী ভক্তবৃন্দ ও সাধু-সন্যাসীদের সমাগম ঘটে দীর্ঘদিন থেকে। সকলের পদচারনায় অভূতপূর্ব মিলনমেলায় পরিণত হয় এই মেলা। কালীপূজা ও মেলা বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে। দেশ-বিদেশের হাজারো ভক্ত ও দর্শকের পদচারণায় ৭ দিনব্যাপী মিলন মেলা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আগামী ৬ বুধবার নভেম্বর সন্ধ্যায় সমাপ্তি ঘটবে। মন্দির কমিটির সদস্য আশীষ কুমার সরকার সুইট বলেন, এ পূজার প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে পাঠাবলি। আর পাঠাবলি দেখতে এখানে দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। সেই সাথে রয়েছে গরম গরম পাপড় ভাজা, রকমারী মিষ্টি ও বাহারী স্বাদের পান। মেলায় বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৩শতাধিক স্টল স্থান পেয়েছে। পুজা কমিটি সূত্রে জানা যায়, ৫৩৫ বছর আগে নবাবী আমলে বর্গীয় হাঙ্গামায় বর্গীদের অত্যাচারে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের খাগড়া থেকে ৬০ঘর কংস বণিক লালপুরের বুধপাড়ায় এসে বসতি স্থাপন করেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের এই কাঁসা শিল্পীরা কালীপূজা অর্চনার জন্য খড়ের ঘরে একটি মন্দির নির্মান করেন। বাংলা ১৩৩২ সালে জনৈক লাল কেনেডিয়ার স্ত্রী জানকী বাঈয়ের আর্থিক অনুদানে পাকা মন্দির নির্মিত হয়। প্রতি বছর কার্তিক মাসে এখানে কালীপূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মন্দিরে পূজা চলাকালীন প্রতিদিন পাঁঠা বলি হয়ে থাকে। লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবছরই লালপুরের বুধপাড়া কালি পূজা উদযাপন হয়ে আসছে। কালিপূজার আনুষ্ঠানিকতা শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় পুরো পূজা ম-প এলাকা মনিটরিং করা হবে। ৭দিন ব্যাপী মেলায় যে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ প্রশাসন তৎপর