মোছাঃ সীমা খাতুন
স্টাফ রিপোর্টার
পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে রাগারাগি হওয়ার রাগ করে বাবার বাড়ি চলে আসে স্ত্রী। কিন্তু এ আসাটাই চিরকালের আসা হবে তা ভাবেনি কেউ। বাবার বাড়িতে এসে কাল কেউটে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর।নাটোরের বড়াইগ্রামে কাল কেউটে সাপের কামড়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ১৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছে এক গৃহবধূ। রোববার রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত ওই গৃহবধূর নাম লাবনি আক্তার লিজা (২৬)। সে নাটোরের গুরুদাসপুরের বালিয়া গ্রামের শাহিন প্রামাণিকের স্ত্রী এবং বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি কাটাসকোল গ্রামের দুলাল হেসেন মৃধার মেয়ে। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে স্বামীর সাথে রাগ করে সে বড়াইগ্রামে বাবার বাড়িতে এসেছিলো বলে জানা গেছে।ওই গৃহবধূর ভাই রাসেল মৃধা জানান, তার একমাত্র বোন লাবনি আক্তার লিজা স্বামীর বাড়িতে ১০ বছর বয়সী ছেলে সৌরভকে রেখে ১২ বছর বয়সী মেয়ে স্বর্ণাকে সাথে নিয়ে বাবার বাড়িতে আসে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ২টার দিকে রাতে ঘুমানোর সময় তার আঙ্গুলে সাপ কামড় দিলে সে অসুস্থতা অনুভব করে। পরে খুঁজে দেখা যায় বিছানার কাঁথার নীচে কাল কেউটে সাপ। সে সাপ কোমড়ে মেরে আহত করে সাপসহ অসুস্থ বোন লিজাকে বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক সাপটি সনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু ৫দিন পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৪ দিন আইসিইউ (নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র)তে চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার রাতে সে মারা যায়।।