মোঃ সুমন,
দেশে ১৪ কোটি নিরাপদ বিদ্যুৎ
সরবরাহ এবং টেকশই আধুনিক ও যুগোপযোগী বিতরন ব্যবস্থা বিনির্মানের লক্ষ্যে চলতি বছরের শুরু থেকে আরইবি -পবিস একীভূতকরনসহ অভিন্ন চাকুরীবিধি বাস্তবায়ন এবং সকল চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করনের ০২ দফা দাবি আদায়ে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলমান।
সরকারের পক্ষ থেকে সমাধানের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও আরইবি নানা তালবাহানায় ০২ দফা দাবি বাস্তবায়নে অস্বীকৃতি জানিয়ে চরম বিপত্তি সৃষ্টি করে।এতে করে সমিতির কর্মকর্তা/ কর্মচারীরা ক্ষিপ্ত হয়।
পল্লী বিদ্যুৎতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মরত ৪৫ হাজার কর্মকর্তা- কর্মচারীদের পেশাগত ক্ষেত্রে বিরাজমান বৈষম্য নিরসনে ০২ দফা দাবীতে ৩০সেপ্টেম্বর’২৪ সোমবার সকাল ১১ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত শতভাগ গ্রাহক সেবা চালু রেখে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালন করেন।
তাদের প্রধান দাবি ২ টি।
১।অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন।
২।সকল চুক্তিভিত্তিক /অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করন।
এছাড়াও তারা বলেন—–
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়নবোর্ড কর্তৃক নিন্মমানের বৈদ্যুতিক মালামাল ক্রয় ও সরবরাহ, প্রয়োজনীয় মালামাল ও জনবলের ঘাটতি থাকায় গ্রাহক সেবার মান বিঘ্নিত হচ্ছে।নিন্ম মানের মালামাল ক্রয়ের জন্য গ্রাহক হয়রানির স্বীকার হচ্ছে।সময় মত মালামাল না দেওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে দেরি হচ্ছে।বর্তমান সময়ে গ্রাহক সবথেকে বেশি ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে নিন্ম মানের মিটার নিয়ে।যাতে লোড ছাড়াই রিডিং আসছে।ব্যাটারী নষ্ট হয়ে কখনো রিডিং বেড়ে যাচ্ছে।আবার কখনো ডাউন হয়ে যাচ্ছে।যার দায় কেবল আরইবির।কিন্তু গ্রাহকদের সাথে সরাসরি তাদের কোন সম্পর্ক না থাকায় এর দায় প্রতিনিয়ত সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপর পড়ছে।গ্রাহকের সাথে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে।কারন গ্রাহক আরইবিকে চিনেনা।কারা মালামাল ক্রয় করে তা জানেনা।সঠিক তথ্য না জেনে গ্রাহক সমিতির লোকজনের উপর ক্ষুব্ধ হচ্ছে।
সর্বোপরী একটি বিষয় প্রতিয়মান হয় যে, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একীভূত হলে গ্রাহক সেবার মান আরো উন্নত হবে।তাই ০২ দফা দাবি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।